এটি কোন সরকারি অয়েবসাইট নয়।

ভূমি সংক্রান্ত সেবা

ই পর্চা

মিউটেশন

ভূমি উন্নয়ন কর

ভূমি মানচিত্র ও মৌজা

ভূমি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল

ইজারা ও বন্দোবস্ত

ভূমি প্রশাসন ব্যবস্থাপনা

ভূমি রাজস্ব মামলা

ভূমি তথ্য ব্যাংক

(ক) ভূমি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম

১. ভূমি জরিপ এবং খতিয়ান ব্যবস্থাপনা

ভূমি জরিপ হলো ভূমির সীমানা, আয়তন ও প্রকৃতি নির্ধারণের প্রক্রিয়া। সরকারি জরিপ বিভাগ (যেমন বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তর) জমির নকশা (ম্যাপ) তৈরি করে এবং খতিয়ানে রেকর্ড সংরক্ষণ করে।

জরিপ প্রক্রিয়া:

  • ফিল্ড সার্ভে করে জমির সীমানা চিহ্নিত করা হয়
  • জিপিএস ও মডার্ন টেকনোলজি ব্যবহার করে ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করা হয়
  • খতিয়ানে জমির মালিক, দাগ নম্বর, পরিমাণ ও শ্রেণি উল্লেখ থাকে

খতিয়ান ব্যবস্থাপনা:

  • ভূমি অফিস বা ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে খতিয়ানের কপি সংগ্রহ করা যায়
  • অনলাইনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপ (যেমন: "ডিজিটাল বাংলাদেশ ভূমি সেবা") থেকে খতিয়ান চেক করা যায়

২. নামজারি এবং মিউটেশন প্রক্রিয়া

নামজারি হলো জমির মালিকানা হস্তান্তরের আইনি প্রক্রিয়া, আর মিউটেশন হলো নতুন মালিকের নামে খতিয়ান হালনাগাদ করা।

নামজারির ধাপ:

  1. দলিল রেজিস্ট্রেশন করা
  2. ইউনিয়ন ভূমি অফিস বা তহসিল অফিসে আবেদন জমা দেওয়া
  3. নোটিশ জারি ও জমি পরিদর্শন
  4. মিউটেশন খতিয়ানে নাম অন্তর্ভুক্তি

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • রেজিস্ট্রিকৃত দলিলের কপি
  • জাতীয় পরিচয়পত্র ও ট্যাক্স রসিদ
  • পূর্ববর্তী খতিয়ানের কপি

৩. ভূমির ডিজিটাল নথিপত্র সংগ্রহ

বর্তমানে ভূমি সংক্রান্ত সব রেকর্ড ডিজিটালাইজড হচ্ছে। অনলাইনে নিম্নলিখিত সেবাগুলো পাওয়া যায়:

  • খতিয়ান ও ম্যাপ ডাউনলোড (www.land.gov.bd বা স্থানীয় ভূমি অফিসের ওয়েবসাইট)
  • মোবাইল অ্যাপ (যেমন: "ভূমি সেবা") এর মাধ্যমে জমির তথ্য চেক করা
  • ই-মিউটেশন সিস্টেমের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করা

(খ) ভূমি রেজিস্ট্রেশন এবং মালিকানা

১. রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া

জমি কেনাবেচা বা হস্তান্তরের সময় দলিল রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। এটি সম্পাদিত হয় রেজিস্ট্রার অফিসে

ধাপসমূহ:

  1. বিক্রেতা-ক্রেতার সম্মতিতে দলিল প্রস্তুত
  2. স্ট্যাম্প দিয়ে দলিল রেজিস্ট্রেশন (সাধারণত জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে)
  3. রেজিস্ট্রেশন ফি ও স্ট্যাম্প ডিউটি পরিশোধ

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:

  • বিক্রেতার মালিকানার প্রমাণ (খতিয়ান)
  • ফটোকপি আইডি ও টিন সার্টিফিকেট
  • পাসবুক বা নাগরিক সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

২. দাখিলা প্রদান এবং খতিয়ান হালনাগাদ

দাখিলা হলো ভূমি কর পরিশোধের রসিদ, যা মালিকানা প্রমাণে সহায়ক।

হালনাগাদ প্রক্রিয়া:

  • নতুন মালিককে মিউটেশন করে খতিয়ান আপডেট করতে হয়
  • অনলাইনে বা তহসিল অফিসে দাখিলা জমা দিয়ে হালনাগাদ করা যায়

৩. দলিল রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • সম্পূর্ণ দলিল (বিক্রয়, দান, বিনিময় ইত্যাদি)
  • স্ট্যাম্পে ক্রয়মূল্যের ২-৩% ফি প্রদান
  • সাক্ষীদের উপস্থিতি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

(গ) ভূমি সংক্রান্ত কর এবং ফি

১. ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ

প্রতি বছর ভূমি কর (Land Tax) পরিশোধ বাধ্যতামূলক। এটি জমির প্রকৃতি (কৃষি/অকৃষি) অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।

পরিশোধ পদ্ধতি:

  • ইউনিয়ন ভূমি অফিস বা তহসিল অফিসে নগদ প্রদান
  • অনলাইনে Sonali Bank, DBBL বা BKash এর মাধ্যমে

২. অনলাইনে কর পরিশোধের নিয়মাবলী

  1. ভূমি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট (https://land.gov.bd) বা মোবাইল অ্যাপে লগইন
  2. জমির দাগ নম্বর ও খতিয়ান নম্বর দিয়ে তথ্য চেক
  3. পেমেন্ট গেটওয়ে (বিকাশ, নগদ, ব্যাংক কার্ড) দিয়ে কর পরিশোধ
Bkash বিকাশ
Nagad নগদ
DBBL DBBL
Sonali Bank সোনালী ব্যাংক

৩. কর নির্ধারণ পদ্ধতি

  • কৃষি জমি: কম হার (প্রতি বিঘায় ১০-৫০ টাকা)
  • অকৃষি জমি: বাণিজ্যিক/আবাসিক অনুযায়ী উচ্চহার
  • শহরের জমি: মূল্য অনুসারে প্রগ্রেসিভ ট্যাক্স

সর্বশেষ তথ্য

এই তথ্যগুলো আপনাকে ভূমি ব্যবস্থাপনা, রেজিস্ট্রেশন ও কর পরিশোধে সহায়তা করবে। কোনো প্রয়োজনে স্থানীয় ভূমি অফিস বা আইনজীবীর পরামর্শ নিন।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কী নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে?
না, আপনি Forgot Password অপশন ব্যবহার করে নতুন পাসওয়ার্ড সেট করতে পারবেন।
ভূমি সেবা রেজাল্ট কখন দেখানো হয়?
আপনার আবেদন প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় স্ট্যাটাস পরিবর্তন হয়ে রেজাল্ট পাওয়া যাবে।
কল সেন্টার থেকে সেবাগুলো ১০০% হয়?
হ্যাঁ, কল সেন্টার থেকে সঠিক তথ্য ও সেবা দেওয়া হয়।
নিবন্ধন করার জন্য কি কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে?
না, আপনি যেকোনো সময় নিবন্ধন করতে পারবেন।

সাইটম্যাপ